চালের সংকট নেই, তবুও বাড়ছে দাম

August 26 2020, 08:25

হঠাৎ করেই অস্থির চালের বাজার। চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে দাম।

এজন্য ব্যবসায়ীরা বন্যা পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন। আর রাইসমিল মালিকরা বলছেন, আড়তে ও বাজারে এ মুহূর্তে চালের কোনো সংকট নেই।
বুধবার (২৬ আগস্ট) পাইকারি চালের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলীতে মিনিকেট আতপ বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকা, দিনাজপুরী পাইজাম ২৬০০ টাকা, চিনিগুড়া চাল ৩০০০ থেকে ৪৭০০ টাকা, ৫০ কেজি বস্তার বেতি আতপ ২০০০ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ২২৬০ থেকে ২২৬৫ টাকা, ২৫ কেজি বস্তার নাজিরশাইল সিদ্ধ ১৪৮০ টাকা, মোটা সিদ্ধ চাল ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা।

পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। বস্তাপ্রতি দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

চাক্তাই চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকেই চালের বাজার অস্থির। ঈদের আগে ধান মণপ্রতি ৯২৫ টাকা ছিল, সেটা বেড়ে এখন হয়েছে ১০৫০ টাকা। দুই মণ ধান থেকে পাওয়া যায় ৫০ কেজি চাল। ধানের এই বাড়তি দামের কারণে চালের দামও বেড়েছে।

সম্প্রতি চালের দাম যাচাই করতে খাতুনগঞ্জে যায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় বেশি দামে চাল বিক্রি, মূল্যতালিকা না টাঙানো এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনার দায়ে চারজন চাল ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয় এবং চালের দাম না বাড়ানোর জন্য সতর্ক করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ব্যবসায়ীরা চিনিগুড়া চাল ২২০০ টাকা, জিরাশাইল চাল ২৪৫০ টাকা, বালাম সিদ্ধ চাল ১৮০০ টাকা, পাইজাম চাল (২৫ কেজি বস্তা) ১১০০ টাকায় কিনে বিক্রি ১১৫০ টাকা, দেশি বেতি চাল ১৮৫০ টাকায় কিনে ১৯০০ টাকায় বিক্রি ও ইরি আতপ চাল (৫০ কেজি বস্তা) ১৭৯০ টাকায় কিনে ১৮২০ টাকায় বিক্রির দাবি করলেও বাজারে দাম এর চেয়েও বেশি।

জানা গেছে, মোটা চালের দাম এখন গত বছরের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি। গত বোরো মৌসুমে প্রায় ২ কোটি টন চাল উৎপাদিত হয়। চলতি বছর আমন ওঠার আগ পর্যন্ত দেশে ৫৫ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে বলে দাবি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের। এখন সরকারের কাছে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টন চাল মজুদ আছে।

চাক্তাই রাইচ মিল সমিতির সভাপতি শান্ত দাশগুপ্ত বলেন, দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার কারণে ধানের দাম বাড়ার ফলে চালের দামও বেড়ে গেছে। তবে আড়তে ও বাজারে চালের কোনো সংকট নেই।