চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামে উঠছে ৪৩ লট রাসায়নিক পদার্থ

September 07 2020, 05:20

বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ করা ৪৩ লট বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) নিলামে তোলা হচ্ছে।

এসব রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে রয়েছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ব্লাঙ্ককেট, ডাইথোনাইট. সালফক্সিলেট, হাইড্রোক্লোরাইড, নাইট্রো গ্লু সলিউশন, কস্টিক সোডা, ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান, বেভারেজ কনসেন্ট্রেট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার জাতীয় রাসায়নিক।

এসব রাসায়নিকের মধ্যে অনেক রাসায়নিক পদার্থ বিপজ্জনক অবস্থায় বন্দরে জব্দ অবস্থায় মজুদ ছিল। রাসায়নিক ছাড়াও ৬ লটে পচনশীল খাদ্যপণ‌্যও নিলামে তোলা হচ্ছে।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার ফরিদ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কাস্টমস নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, বন্দরে বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা নিলামযোগ্য ৪৩ লট রাসায়নিক পদার্থ এবং ৬ লট খাদ্যপণ্য নিলামে উঠানো হচ্ছে আজ দুপুর আড়াটায়। নিলামে অংশগ্রহণকারী বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হবে।

নিলামে আগ্রহী বিডাররা আজ দুপুর ২টার মধ্যে দরপত্র জমা দিতে পারবেন। চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমস অফিস ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের (ঢাকা দক্ষিণ) অফিসেও এই নিলামের জন্য বক্স রাখা হয়েছে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ প্রদান করে কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া, মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা হয়।সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার নিয়ম থাকলেও সাম্প্রতিক করোনা মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে নিলাম আয়োজন বিঘ্নিত হয়। এর ফলে নিলামযোগ্য বেশ কিছু কন্টেইনার বন্দর ইয়ার্ডে জট তৈরি করছিলো। বৃহস্পতিবার সব মিলিয়ে ৪৯ লটে বড় নিলাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে।