ঘিওরের একটি গ্রাম লকডাউন
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরী গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুর পর মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক ব্যক্তিকে দাফন সম্পূর্ণ করে একটি গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া ওই গ্রামের ৬টি পরিবারের ২৮ জন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন হাসপাতালে হিসাব রক্ষক আলমগীর হোসেন (৪৯) নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলবার রাতে করোনা উপসর্গ (ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি) নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায়।
বুধবার খুব সকালে তার লাশ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাইলজুরী গ্রামে আনা হয় এবং পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তার দাফন সম্পন্ন করে।
নিহতের ভাই আব্দুল মালেক জানান, ঢাকার মেট্টোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করতেন আলমগীর হোসেন (৪৯)। সপ্তাহখানেক আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। হাসপাতাল থেকে তাকে ছুটি দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেন। এরপর থেকে তিনি বাসাতেই ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। ভোর ৪টার দিকে লাশ বাইলজুরি গ্রামে এনে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
এলাকা থেকে সকালে এমন তথ্য জানার পর সেখানে গিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ায় পর পুরো বাইলজুরী গ্রাম লকডাউন করা হয়। এছাড়া তড়িঘড়ি করে মৃত ব্যক্তির পরিবার ও আত্মীয় স্বজন যারা লাশ দাফন করেছে সেসব ৬টি পরিবারের ২৮ জন্য সদস্যকে শনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।