গ্রন্থমেলার দরজা খুলছে আজ

February 02 2020, 07:19

নিয়মের বাইরে ভাষার মাস শুরুর এক দিন পর আজ রোববার থেকে দরজা খুলছে একুশে গ্রন্থমেলার। বেলা ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর মাসব্যাপী এ মেলা প্রাঙ্গণ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। ২৯ ফেব্রুয়ারি আবার এক বছরের জন্য মেলার কপাট বন্ধ হবে।

মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ জানিয়েছেন, এবারই সবচেয়ে বড় পরিসরে হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে প্রায় আট লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে বসছে এবারের মেলা। তবে ৩ মার্চ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি অনুষ্ঠান থাকায় এ বছর মেলার সময় বাড়ছে না।

মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি ইউনিট ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি ইউনিটসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো লিটল ম্যাগ কর্নার নেয়া হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখার পর তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জানান, এবারে বই মেলার থিম হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণটি ‘শিকড়’, ‘সংগ্রাম’, ‘মুক্তি’ ও ‘অর্জন’ এ চারটি নামে নামকরণ করা হয়েছে, যা বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং কর্মের সাথে জড়িত। মেলার বিন্যাসের মাধ্যমে মুজিববর্ষের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

তিনি জানান, টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও একাডেমির উল্টোদিকের কালীমন্দির এবং তিন নেতার মাজারের পাশ দিয়ে থাকবে প্রবেশ ও বহির্গমন পথ। শিশু চত্বরের আয়তনও বাড়ছে। শুধু বইয়ের মেলা হিসেবে এই মেলা আয়োজন হলেও এবার যুক্ত হচ্ছে ফুড কোর্ট। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের দুই প্রান্তে দু’টি ফুড কোর্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ফুড কোর্টে ২০টি করে খাবার দোকান থাকবে। এ ছাড়া এবারের মেলার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সম্পূর্ণ আয়োজন বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষের জন্মদিনকে সামনে রেখেই করা হয়েছে এবারের মেলার নকশা।