‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠনে সংসদে বিল উত্থাপিত

February 18 2020, 13:16

গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্দেশ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করার জন্য ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২০’ নামে একটি বিল মঙ্গলবার সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

বিলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ইমারত নির্মাণ, পুণ:নিমার্ণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুন:খনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না-মর্মে বিধান রাখা হয়েছে।

বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে বিলটি পরীক্ষপূর্বক সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিলটি গৃহায়ন ও গণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়, ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। কর্তৃপক্ষ পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যান, চারজন সার্বক্ষণিক সদস্যসহ ১৫ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। কর্তৃপক্ষের সচিব কমিটির সচিব হবেন। মনোনিত সদস্যরা তিনি বছরের জন্য মনোনিত হবেন। কর্তৃপক্ষ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও আধুনিক পর্যটন ও নগর উন্নয়ন কার্যাবলী গ্রহণ করবেন। কৃষিভূমি,বনভূমি, নিম্নভূমি, জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোন ইমারত নির্মাণ, পুণ:নিমার্ণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুন:খনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পনা, উন্নয়ন, সংস্কার, এবং সম্প্রসারণের মাধ্যমে পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৪-এর কার্যবিবরণীতে পরিকল্পিত নগরায়ন এবং জনসাধারণকে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার জন্য গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (জিডিএ) গঠন করা হবে। সে প্রেক্ষিতে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন’-এর খসড় প্রণীত হয়। গত বছরের পহেলা এপ্রিল মন্ত্রিসভায় বিলটি অনুমোদিত হয়। বিলটিতে সরকারি টাকা ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় সংবিধােনর ৮২ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে।