খালেদা জিয়ার জামিন দাবিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এজলাসে অবস্থান
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আপিল শুনানির নতুন দিন দেয়ায় প্রধান বিচারপতির এজলাসকক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপিপন্থী কয়েক শতাধিক আইনজীবী। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দীন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সগীর হোসেন, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপির শতাধিক আইনজীবীরা ‘খালেদা জিয়ার জামিন ছাড়া ঘরে ফিরে যাব না’, ‘জামিন ছাড়া এজলাস ত্যাগ করব না’ এসব স্লোগান দিয়ে এজলাসকক্ষে অবস্থান করছেন।
জয়নুল আবেদীন বলেছেন, বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত আপিল বিভাগ চলার কথা। ওই সময় পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি হয়। এ সময় মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য আরো দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার আরো কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে। এ জন্য দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন।
এর বিরোধিতা করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, ‘একটা রিপোর্ট আমাদের হাতে আনঅফিশিয়ালি রয়েছে। আপনি সেটি দেখেন। মেডিকেল রিপোর্ট আসার আগেও আপনি জামিন দিতে পারেন।’
এ সময় আদালত বলেন, ‘দুটি রিপোর্টের ওপর আগামী ১২ ডিসেম্বর শুনানি করব।’ এ জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে অবশ্যই মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই দিনই খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি করা হবে বলে আপিল বিভাগ আদেশ দেন।
এর পরই আদালতে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে আদালতের ভেতর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলতে থাকেন, ‘জামিন না নিয়ে আমার এজলাস ত্যাগ করব না।’ ওই সময় তাঁরা বিচারকক্ষে বসে পড়েন। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। এরপরও আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এরপর আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বর নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ আওয়ামী লীগপন্থী অন্য আইনজীবীরা কিছুক্ষণ এজলাসকক্ষে বসে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা এজলাস ছেড়ে চলে যান।