কাউন্সিলর রাজীব ১৪ দিনের রিমান্ডে
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে ১৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
রোববার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় ভাটারা থানার মাদক মামলায় ১০ দিন ও অস্ত্র আইনে করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। রাতে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মাদক মামলায় সাত দিন ও অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার রাতে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন র্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান।
শনিবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে রাজীবকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব-১ এর কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে ভাটারা থানায় পাঠানো হয়।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানায় র্যাব। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর এলাকায় বাড়ি দখল জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
রাজীবকে গ্রেফতারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেশ কয়েক দিন ধরে আত্মগোপনে থাকা রাজীবকে বসুন্ধরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে, ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সাথে রাজীবের গ্রেফতারের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
সেপ্টেম্বর মাসে সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দল এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কিছু নেতাকর্মীর দুর্নীতিসহ নানা অপরাধে জড়ানোর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযান চালানোর কথা বলেছিলেন।
এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথমে র্যাব ঢাকায় চারটি নামকরা ক্লাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধ জুয়ার আসর বা ক্যাসিনো বাণিজ্য বন্ধ করেছিল।
ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী এসব অভিযানে এ পর্যন্ত ঢাকা থেকে ২২০ জন ও ঢাকার বাইরে থেকে ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জি কে শামীম, যিনি নিজেকে যুবলীগের সমবায় সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিতেন।