করোনায় সরকারের পদক্ষেপে অর্থনীতির চাকা সচল: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী এবং দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে করোনার মধ্যেও সরকার শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে গার্মেন্টসসহ সব কল-কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
রোববার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ইমপ্রোবড নিউট্রিশনের (গেইন) যৌথ আয়োজনে দ্বিতীয় সাসটেইনেবল অ্যাপারেল সামিট-২০২০ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির শুরুতেই দেশের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে গার্মেন্টস খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব হ্রাস করার জন্য ৩১-দফা নির্দেশনা জারি করেন। সরকার পুনরুদ্ধার প্যাকেজ হিসেবে ১৩.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনের জন্য প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন অংশীদাররাও আমাদের প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং আইএলও এর সহযোগিতায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। সংকট নিরীক্ষণের জন্য ২৩টি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মৃত্যুজনিত সহায়তা, স্থায়ী পঙ্গুত্ব, দুর্ঘটনায় আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকদের চিকিৎসা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা সহায়তা হিসেবে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে শুধু মৃত্যুজনিত সহায়তা হিসেবেই ৮১ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে।
সামিটের সমপনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইকোনোমিক ইউনিটের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন মাহমুদ, বিকেএমইএর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হানিফুর রহমান লোটাস এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়ার্কার লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বক্তব্য রাখেন।