ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে সরকার সতর্ক থাকবে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিকরা যাতে লাভবান হয়, সেজন্য সরকার ৯ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নে সরকার সতর্ক থাকবে।
আজ রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের কল্যাণে ইতোমধ্যেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করে না, অথচ ডিএফপি থেকে রেট কার্ড নেয়। মন্ত্রী হয়ে আমি দেখেছি এমনও পত্রিকা আছে, যার ঢাকায় সার্কুলেশন এক হাজার, সারাদেশে পাঁচ হাজার। অথচ সুবিধা নেয়ার জন্য ঘোষণা দেয় দেড় লাখ। এসব বন্ধ করে তাদের শৃঙ্খলায় আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পত্রিকাগুলো আমাদের কাছে সার্কুলেশনের এক হিসাব দেয়, ট্যাক্স অফিসে আরেক হিসাব দেয়। সরকারি দুই দফতরে দুই হিসাব চলবে না। তাদের নজরদারি ও শৃঙ্খলায় আনা হবে।’
ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজান মালিক, সাংবাদিক শাহনেওয়াজ দুলাল, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি মধুসুধন মন্ডল এবং ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদও বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শাসনামলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিরাট বিপ্লব ঘটে গেছে। তিনি বলেন, এ শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে বিজ্ঞাপন এবং গণমাধ্যমে রেট পড়ে যাওয়াসহ কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। এখন টিকে থাকার জন্য এ শিল্পের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের কল্যাণে আমি নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু সকল স্টেকহোল্ডার্সদের কাছ থেকে সর্বাত্মক সমর্থন প্রয়োজন। সমাজের দর্পণ হিসেবে সাংবাদিকদের প্রটেকশন দেয়া আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, টেলিভিশনের বিদেশী বিজ্ঞাপন নিয়ে ঝামেলা ঠিক করছি। এছাড়া ক্যাবল অপারেটররা বাংলাদেশী চ্যানেলগুলোকে সিরিয়ালে দূরে রাখতো। আমরা ১-৪ এর মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চ্যানেলগুলো ও পরে বেসরকারি চ্যানেলের সিরিয়াল করিয়েছি। তাদের যেভাবে শৃঙ্খলায় আনা হয়েছে, একইভাবে পত্রিকাগুলোকেও শৃঙ্খলায় আনা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে সর্বোচ্চ। গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ অর্জিত হয়। এ প্রবৃদ্ধি বর্তমান অর্থবছরে আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বিশ্ব নেতৃবৃন্দ গত সাড়ে ১০ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অনেক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে আমাদের দেশ ভারত এবং পাকিস্তানকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ড. হাছান বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা খুব সহজ বিষয় নয়। রিপোর্টার বিশেষ করে ক্রাইম রিপোর্টাররা খুবই ঝুঁকির মধ্যে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। তাদের অনুসন্ধানী রিপোর্টে দেশ, জাতি ও সমাজ উপকৃত হয়। পরে মন্ত্রী ক্র্যাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। সূত্র : বাসস