এশিয়ায় করোনা কত দিন থাকবে? জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, করোনা মোকাবেলায় এশিয়া মহাদেশীয় অঞ্চলে নেয়া পদক্ষেপগুলো কেবল ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে সাহায্য করছে। এতে করে গণসংক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা মনে করছেন, করোনাভাইরাস মহামারী শেষ হতে এখনো বহু দেরি আছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব কথা জানা গেছে।
২০১৯ সালের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে শুরু হওয়া এ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৮ লাখেরও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই বলেছেন, ‘এত সব পদক্ষেপ নেয়ার পরও মহামারী চলাকালে এ অঞ্চলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবেই।’
ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে কাসাই বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে জানতে চাই, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ মহামারী শেষ হতে এখনো অনেক দেরি। এটি একটি দীর্ঘকালীন যুদ্ধ হতে যাচ্ছে। আমরা কিছুতেই অসতর্ক হয়ে বসে থাকতে পারি না। বড় ধরনের গণসংক্রমণ রোধ করতে সব দেশকে প্রস্তুত হতে হবে।’
প্রশান্ত অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর মতো সীমিত সম্পদ বিশিষ্ট দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন কাসাই। যেসব দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তারা অসতর্ক হলে আবারো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
ডব্লিউএইচওর টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ম্যাথিউ গ্রিফিথ বলেন, ‘কোনো দেশ নিরাপদ থাকবে, এমনটা মনে করে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ করোনাভাইরাস সব জায়গায়ই পৌঁছে যাবে।’
সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ দিয়ে গ্রিফিথ বলেন, ‘এ অঞ্চলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমতে থাকলেও বিদেশফেরত কেউ নতুন করে সেটি বহন করে আনতে পারে। মহামারীর কেন্দ্র এখন ইউরোপ হলেও একসময় তা অন্য স্থানে শুরু হতে পারে’।