একমাত্র আদালতই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারে : তথ্যমন্ত্রী

December 28 2019, 15:19

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শনিবার পুর্নব্যক্ত করে বলেন, শুধুমাত্র বিচারিক প্রক্রিয়াতেই বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব। তথ্যমন্ত্রী শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ (বিএএমপিএল) এর চতুর্থ বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করার হুমকি দিয়ে বিএনপি প্রকৃতপক্ষে আদালতের রায়ের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাচ্ছে। এটা আদালত অবমাননার সামিল।’

বিএএমপিএল এর সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও মোজাফফর হোসেন পল্টু এবং আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার।

ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি প্রধান রাজবন্দী নন। তিনি অর্থ আত্মসাৎ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে কারাগারে আছেন এবং একমাত্র আদালতই তাকে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু, বিএনপি সব সময়ই হুমকি দিয়ে আসছে যে তারা আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করবে। তার মুক্তির বিষয়টি আদালতের উপরই নির্ভর করছে। এছাড়া আর কোন পথ নেই।’

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি গত ১১ বছরে কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। ড. হাছান আরো বলেন, ‘আমরা তাদের ‘তুমুল আন্দোলন’ দেখেছি। তাদের যত সমাবেশ, নিজেদের মধ্যে মারামারিও তত। তাদের নিজেদের নেতাদের উপরেই কর্মীদের আস্থা নেই। তাদের আন্দোলনের ডাক শুনে মনে হয় এজন্যই লোকে বলে, ‘খালি কলসি বাজে বেশি।’

আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান আরো বলেন, ‘বেগম জিয়াকে আন্দোলন করে মুক্ত করার বিষয়টি উপহাসে পরিণত হয়েছে।’

সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রোববারের কর্মসূচি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, জোট গত সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং এবং তাদের কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তাদের দলের নির্বাচিত এমপি’রা শপথ গ্রহণ করেছেন এবং সংসদে যোগ দিয়েছেন। তারা আইনপ্রণেতা হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। তাই, আমি মনে করি নির্বাচনকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা নিজেদেরকেই ধোকা দিচ্ছেন।’

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, আসলে তাদের দল ও জোটে কোন ঐক্য নেই। আর এজন্যই তারা কিছু কর্মসূচির মাধ্য দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছেন। বাংলাদেশকে বর্তমানে একটি সফল দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণের লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বিগত ১১ বছর বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং বিগত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে এদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বৈশ্বিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত প্রবৃদ্ধির অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে ও আরো অনেক সফল্যের দিক প্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধান সূচকগুলোতে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশ অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। সেই বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানির দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। নগরায়ন ও আবাদী জমি দ্রুত হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।’ সূত্র : বাসস।