উগ্রবাদী দল সব ধর্মে রয়েছে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। যারা ধর্মীয় উগ্রবাদ ও মতবাদ সৃষ্টি করেন, তারা মূলত তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ কাজ করেন। এ উগ্রবাদী দল মুসলমান, হিন্দু, বোদ্ধসহ সব ধর্মে রয়েছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর চকবাজারে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত ‘বিজয়া সম্মিলন-২০১৯’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আর অসাম্প্রদায়িক চেতনার ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার, এই নীতিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
মন্ত্রী বলেন, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে বসবাস করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়কালে কিছু গোষ্ঠী ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করেছেন। পরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বিভাজন দূর করেছেন। এখন হিন্দু-মুসলিম সবাই একসঙ্গে যার যার উৎসব পালন করে থাকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্নানন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্ত, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী নির্মল কুমার চ্যাটার্জী প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মন্ডল বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ বছর ৩১ হাজার ৩৯৮টি পূজা হয়েছে, যা গতবছরের তুলনায় ৪৮৩টি বেশি। সারাদেশে আনন্দ মূখর পরিবেশে দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে। কোথাও কোন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এটি বাংলাদেশের হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের প্রতিফলন।