উগান্ডায় ইসরাইল-সুদান বৈঠক : সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা ইসরাইলের
উগান্ডায় ইসরাইলের ও সুদানের নেতাদের বৈঠকের পর সুদান প্রথমবারের মতো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি হয়েছে বলে জানায় ইসরাইল।
সোমবার উগান্ডার এংটেবীতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সুদানের সার্বভৌম কাউন্সিলের প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিতয়।
ইসরাইলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার লক্ষে সহযোগিতা শুরুর বিষয়ে দুই দেশই একমত।
এক টুইট বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, আমরা এমন সহযোগিতা শুরু করতে সম্মত হয়েছি যা উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে। ইতিহাস!
এবিষয়ে আল জাজিরাকে সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসমা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, তিনি সোমবার বৈঠকটি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন এবং তার আর কোনো তথ্য নেই।
সুদানের তথ্যমন্ত্রী ও সরকারের মুখপাত্র ফয়সাল সালিহ রয়টার্সেকে বলেন, উগান্ডায় যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই এবং মন্ত্রীসভায়ও এবিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি।
সালিহ বিবৃতিতে বলেন, বুরহানের প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত কর্মকর্তারা তার ‘ব্যাখার’ অপেক্ষা করবে।
ফিলিস্তিনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সোমবারের বৈঠককে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের পিছনে ছুরিকাঘাত’ বলে নিন্দা করেছেন।
ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন (পিএলও) এক বিবৃতিতে জানায়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনকে ডুবানো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তখন আরব অঞ্চলের শান্তি উদ্যোগ থেকে সরে যাওয়া শিষ্টাচার বহির্ভূত।
যেখানে আরব জাতিগুলো ১৯৬৭ সালে চুক্তি করেছে যে, ইসরাইলকে কোন স্বীকৃতি নয়, ইসরাইলের কোন শান্তি নয় এবং ইসরাইলের সাথে কোন আলোচনা নয় সেখানে কিভাবে সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়।
বার্তা সংস্থা এপি সুদানের এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই বৈঠকটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সমন্বয়ে হয়েছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা’ তালিকা থেকে সুদানকে সরিয়ে দেওয়ারও ছিল।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সুদানের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম ঘান্দুর বলেছিলেন, তার দেশের উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।
তবে, সুদানের দীর্ঘকালীন শাসক ওমর আল-বশিরকে যেহেতু গত বছর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আবার খার্তুম থেকে ইরান নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। যার ফলে ইসরালের এখন আর তেমন কোনো হুমকি নেই। আল জাজিরা।