ইরানের হামলার কথা স্বীকার করেছেন ট্রাম্প

January 08 2020, 18:58

US President Donald Trump speaks about the situation with Iran in the Grand Foyer of the White House in Washington, DC, January 8, 2020. - US President Donald Trump said Wednesday Iran appeared to be "standing down" after missile strikes on US troop bases in Iraq that resulted in no American or Iraqi deaths. "All of our soldiers are safe and only minimal damage was sustained at our military bases. Our great American forces are prepared for anything," he said in an address to the nation from the White House. (Photo by SAUL LOEB / AFP)

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইরান ক্ষেপনাস্ত্র হামলার কথা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই হামলায় কোনো আমেরিকান সৈন্য নিহত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

হোয়াইট হাউসে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষনে ট্রাম্প বলেন, মনে হচ্ছে ইরান খুব প্রস্তুতি নিয়ে আছে। তবে ওয়াশিংটন এখনই এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। তিনি বলেন, ইরানের হামলায় কোনো আমেরিকান আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। আমাদের কেউই হতাহত হয়নি। আমাদের সব সৈন্য নিরাপদে আছে এবং আমাদের সেনা ঘাঁটিতে খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নেতৃত্বে থাকাকালীন ইরানের কখনো পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে পারবে না’

বুধবার ভোররাতে ইরাকের ওই দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ছুড়েছে ইরান। গত শুক্রবার ইরাকের বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হন। সোলাইমানির বাহিনী মার্কিনদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার ওপর হামলা চালানো হয় বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি দেশটি। সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান চরম প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেয়।

ইরাকের আল-আসাদ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি

জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার জবাবে ইরানের ইসলামি গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি বুধবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ এবং পুরানো সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে। আইআরজিসির কুদস বাহিনীর প্রধান ছিলেন জেনারেল সোলাইমানি এবং গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় তিনি নিহত হন। একই সঙ্গে নিহত হন ইরাকের জনপ্রিয় আধা সামরিক বাহিনী হাশদ আশ-শাবি বা পিএমইউ’র সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিসসহ ৮ জন।