ইউনাইটেড হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা

গুলশানের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির অভিযোগ রয়েছে, এ কারণে এ নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই দেওয়া আছে বলে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান।
বুধবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সুদীপ্ত চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় নিহত একজনের স্বজন ডোনাল্ড মিকি গমেজ থানায় অবহেলাজনিত অগ্নিকাণ্ডের মামলা করেন। ওই মামলায় নির্দিষ্ট করে আসামিও করা হয়েছে। এখন তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আসামিদের অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর পরই তাদের আইনের আওতায় আনবো। তবে তারা যাতে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন, বিচারের মুখোমুখি করা যায়, সেজন্য পুলিশ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। আর তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হবে করা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের দুটি তদন্ত দল কাজ করে। তারা তদন্তে হাসপাতালের বাইরের করোনা সেন্টারের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে। ওই দুটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন আদালত প্রতিবেদন দেখে কী আদেশ দেন সেজন্যই অপেক্ষা করছে পুলিশ। মিকি গোমেজের দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে হাসপাতালটি চেয়ারম্যান-এমডি, সিইও, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক নার্স ও নিরাপত্তা প্রহরীদের। তবে কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
গত ২৭ মে রাতে হাসপাতালের বাইরে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত করোনা সেন্টারে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যু মামলা করলেও নিহতের স্বজন অবহেলাজনিত অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর অভিযোগে থানায় মামলা করেন।