আমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে দোকান পুড়ে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
বরগুনার আমতলী পৌর শহরের সরকারী কলেজ সড়কে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মেসার্স তাজ সু স্টোরের দোকান ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন ধরার সঙ্গে সঙ্গে তা মুহুর্তের মধ্যে দুই পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পার্শ্ববর্তী বৃন্দা লাইব্রেরী, মুনা জুতা ঘর, বাবা লোকনাথ ডেন্টাল, জুয়েল টেলিকমের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত আমতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি দোকানের জুতা, বই, কম্পিউটার, ফটোকপিয়ার মেশিনসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে দোকান মালিকরা জানান। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মুনা জুতা ঘরের মালিক সাইদুজ্জামান মন্টু বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আমার প্রায় ৪৫ লাখ টাকার জুতাসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে।
মেসার্স তাজ সু স্টোরের মালিক মোঃ মতিউর রহমান বলেন, আমার দোকানের ২০ লক্ষ টাকার জুতাসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে। কান্নারত অবস্থায় তিনি আরো বলেন আমি এখন পথের ফকির হয়ে গেলাম।
ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, সংবাদ পয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করি। স্থানীয় লোকদের সহায়তায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান, পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।