আবরার হত্যা মামলায় নাজমুস সাদাতের ৫ দিনের রিমান্ড

October 19 2019, 20:27

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এএসএম নাজমুস সাদাতের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান এ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানী শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া এ রিমান্ডের মঞ্জুর করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ্য করেন- সাদাত মামলার এজাহারনামীয় ১৫ নম্বর আসামি। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্য প্রমাণে ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণে এ আসামির সূত্র বর্ণিত মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার সম্পর্কে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বে এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিকারীদের মধ্যে কয়েকজন এ আসামি জড়িত মর্মে নাম প্রকাশ করেছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অন্য আসামিদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারে জন্য এ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। শুনানীকালে আসামি নাজমুস সাদাতের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রিমান্ডে যাওয়া সাদাত বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সে জয়পুরহাট জেলার সদর থানার কড়ই উত্তর পাড়ার মো.হাফিজুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলায় ৬ জন আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা হলেন-বুয়েট ছাত্রলীগের বহিস্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির ও শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান।

এ মামলায় কারাগরে রয়েছেন- বুয়েট ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, আকাশ হোসেন ও মিজানুর রহমান। রিমান্ডে রয়েছেন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিস্কৃত আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, বুয়েটের শিক্ষার্থী শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, সামছুল আরেফিন রাফাত ও হোসেন মোহাম্মাদ তোহা।

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ।